সিলেট বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৪.৫৯ শতাংশ এবং ৭১৪টি জিপিএ-৫ কমেছে

শিক্ষা মন্ত্রীর বিভাগে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৪.৫৯ শতাংশ এবং ৭১৪টি জিপিএ-৫ কমেছে।
এবার পাসের হার ৭৪.৫৭ শতাংশ। কিন্তু গতবার সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিলো ৭৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।
পাসের হারের সঙ্গে জিপিএ ৫ এর সংখ্যাও কমেছে। এবার জিপিএ ৫ পয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩৫৬ জন শিক্ষার্থী। যা গতবছর ছিল ২ হাজার ৭০।
প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, এবার সিলেট শিক্ষা বোডে পাসের দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে জিপিএ ৫ পাওয়ার দিক দিয়ে মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা।
রোববার সকালে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবদুল মান্নান খান ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এবার সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ও জিপিএ-৫ কিছুটা কমেছে সত্য। তবে দেশের সার্বিক ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সিলেটের ফলাফল খারাপ হয়নি।
সিলেট বোর্ডের এবারের ফলাফল পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বোর্ডের অধীনে মোট ৫৭ হাজার ৭০২ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। গত বছর বোর্ডে পরিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৫৬১ জন। সে হিসেবে এবার পরিক্ষার্থী বেড়েছে ১৪১ জন। পরিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি পাসের হার।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী কলেজের সংখ্যা ছিল ২০৩ টি এবার কলেজের সংখ্যা ২৩১ টি। কলেজের সংখ্যা বেড়েছে ২৮ টি।
এবারও পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। পরীক্ষায় ৩১ হাজার ৪৫ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৩ হাজার ৩০৭ জন। মেয়েদের পাশের হার ৭৫ দশমিক ০৭ ভাগ। এবার ২৬ হাজার ৬৫৭ জন ছেলে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৯ হাজার ৭২১ জন। ছেলেদের পাশের হার ৭৩ দশমিক ৯৮ ভাগ।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার ৭ হাজার ৮৩ জন পরিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাশ করেছে ৬ হাজার ২৮৬ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৮৮ দশমিক ৭৫ ভাগ।
মানবিক বিভাগ থেকে এবার ৩৯ হাজার ৩৪৫ জন পরিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৭ হাজার ৭৯৩ জন। পাশের হার ৭০ দশমিক ৬৪ ভাগ।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এবার ১১ হাজার ২৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাশ করেছে ৮ হাজার ৯৪৯ জন। এ বিভাগে পাশের হার ৭৯ দশমিক ৩৮ ভাগ।
এবার তিন বিভাগে ১৩৫৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৯৩৮ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ১৫০ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২৬৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের ৭৯৮ জন ছেলে এবং ৫৫৮ জন মেয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে।
২০১৪ সালে তিন বিভাগে ২০৭০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছিল। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১ হাজার ২৫১ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ৩২৪ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৪৯৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছিল। জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের ১ হাজার ১৮৭ জন ছেলে এবং ৮৮৩ জন মেয়ে শিক্ষার্থী ছিল।
এবার মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ গ্রেডে ৬ হাজার ৮৯৮ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৭ হাজার ৬৭৩ জন, বি গ্রেডে ৯ হাজার ৯২২ জন, সি গ্রেডে ১৫ হাজার ২৫১ জন ও ডি গ্রেডে ১ হাজার ৯২৮ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
এদিকে পাসের হারের দিক দিয়ে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও জিপিএ ৫ এর দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা।
- সিলেট এমসি কলেজ ব্যাচ-৯০’র পুনর্মিলনী ৮ জানুয়ারি
- আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই লম্পট বদমাইশ শিক্ষক মাহফুজ ২ দিনের রিমান্ডে
- নাদিরা নুসরাত মাশিয়াত ডাক্তার হতে চায়
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সম্মান ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
- ছাতকে দুই বোনের গোল্ডেন জিপিএ-৫ লাভ
- মুনের ইচ্ছে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করা
- লাবিব কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়
- সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের ফাইনালে লাল-সবুজের বাংলাদেশ
- শাবিতে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন ব্যক্তিগত কারণের জেরেই: সংবাদ সম্মেলনে তথ্য
- ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম মাদরাসা ছাত্র আব্দুল্লাহ
- ছাতকের প্রাথমিক শিা ব্যবস্থা বহুমূখী সমস্যায় জর্জরিত
- এডুকেশন ওয়াচ রিপোর্ট: সব সূচকে শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেট পিছিয়ে
- অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামানকে এসএমএসে হত্যার হুমকি
- টাইব্রেকারে স্পেনকে বিদায় জানাল রাশিয়া
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে হলে শর্ত মেনে চলতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী