‘আবার ৭১’ শীর্ষক ‘তরুণ মুক্তিসেনা ক্যাম্প

সিলেটে ‘আবার ৭১’ তরুণ মুক্তিসেনা ক্যাম্পের শোভাযাত্রা
সিলেটে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপি ‘আবার ৭১’ শীর্ষক ‘তরুণ মুক্তিসেনা ক্যাম্প ২০১১’। মুক্তিযুদ্ধ বিষক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহযোগিতায় এর আয়োজন করেছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মুট কোর্ট সোসাইটি।
‘আবার ৭১’ তরুণ মুক্তিসেনা ক্যাম্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্য বিকেলে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বীন ব্রীজ থেকে বর্ণাঢ্য সাজে বিশাল রিকসা শোভাযাত্রা বের করা হয়।
জাগরণের গান সহকারে শোভাযাত্রা নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়। শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তরুণ মুক্তিসেনারা সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার করেন।
এর আগে সকাল ৮টায় শহরতলীর খাদিমনগরে ব্রাক সেন্টারে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এতে সিলেটের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সূচনা পর্বে ‘আবার ৭১’ শীর্ষক তরুণ মু্িক্তসেনা ক্যাম্প ২০১১ এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন‘ আবার ৭১’ এর মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রদান সমন্বয়কারী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুরিন আফরোজ।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশ এই তিনটি সেশনে অনুষ্ঠিত মুক্তিসেনা ক্যাম্পে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব চিন্তা চেতনা ও যুক্তি তুলে ধরেন। অংশ নেয়া সিলেটের শিক্ষার্থীরা সেশনগুলোতে দেশী ইতিহাস সংরক্ষণ, মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা তৈরি, সকল শিক্ষা মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংযোজন ও ইতিহাস বিকৃতি রোধে দাবি জানান।
মুক্তিযুদ্ধ ও রাজনীতি সেশনে তরুণরা বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতির হাতিয়ার করে যে প্রহসন করা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি বন্ধেরও দাবি তোলেন। তারা মনে করেন রাজনীতিবিদদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে রাজনীতি করা উচিত। তারা যুব সমাজকে ৭১ এর চেতনায় নিজেদের উদ্ভাসিত করতেও আহবান জানান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনতে সর্বক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের চর্চা বিকল্প নেই বলে অংশগ্রহনকারীরা মতামত ব্যক্ত করে।
এরপর প্লাটুন উপস্থাপন করা হয়। প্লাটুন উপস্থাপনা ছিল মূলত একই বিষয়ে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীর নিজেদের মত করে মতামত উপস্থাপন। এর জন্য সকল শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো ৪ টি প্লাটুনে বিভক্ত করা হয়। প্লাটুনগুলো হলো সেনা বাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী ও গেরিলা বাহিনী।
রাতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘ধীমান অন্বেষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা গান, আবৃত্তি, নাটক,অভিনয়ের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর খন্দকার শামসুদ্দিন মাহমুদ।
কাল শনিবার শেষদিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং নারী’ শীর্ষক আলাচনা, প্লাটুন আলোচনা, পরে প্লাটুন উপস্থাপন, যুদ্ধপরাধ, প্লাটুন আলোচনা ও উপস্থাপনা। বিকেল ৩টায় জেলা পরিষদ ভবনে সমাপণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
- বাবরি মসজিদ ভাঙার অনুশোচনায় শিবসেনার বলবীর এখন মোহাম্মদ আমির
- ‘আবার ৭১’ শীর্ষক ‘তরুণ মুক্তিসেনা ক্যাম্প
- ৪৬ বছর পর আবার বিয়ে করলেন হুমায়ূনের প্রথম স্ত্রী কবি গুলতেকিন
- ‘খালেদা জিয়া-তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
- ৪২ বছর পর মেয়েকে নিয়ে ঘরে ফিরলেন মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল!
- মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলো সিলেট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
- সিলেট শিল্পকলা একাডেমির সম্মাননা পেলেন সিলেটের ১৫ সংস্কৃতজন
- জন্মবার্ষিকীতে সিলেটে শত শিশুর হাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদান
- ছাত্রলীগের ভাংচুর-আগুন: ঢাবিতে বৈশাখী কনসার্ট বাতিল
- অরুন্ধতীর অনুষ্ঠানটি অবশ্যই আমরা করবো:শহিদুল আলম
- হবিগঞ্জে জাতীয় নজরুল সম্মেলন শেষ:জাতির পিতাও নজরুলকে ধারণ করতেন
- চির নিদ্রায় শায়িত কবি বাসিত মোহাম্মদ,৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
- করোনাকালেও প্রমাণিত হলো আমরা বীরের জাতি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- নদীর মতো থমকে গেছে কবি বাসিত মোহাম্মদের জীবন
- করোনায় আক্রান্ত হয়ে বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীরের মৃত্যু